শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২


মিনা, আরাফা, মুজদালিফায় নামাজের কসর করতে হবে?


প্রকাশিত:
১০ মে ২০২৫ ১২:১৭

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ১৭:৪৭

ছবি সংগৃহীত

কোন ব্যক্তি যদি মক্কায় (মিনা, আরাফা, মুজদালিফাসহ) পনের দিন অবস্থান করার নিয়ত করেন তাহলে তিনি মক্কায় (মিনা, আরাফা, মুজদালিফায়ও) মুকিম হয়ে যাবে।

কারণ, বর্তমানে মিনা, আরাফা, মুজদালিফা, মক্কা শহরের অন্তর্ভূক্ত। তাই কোনো হাজি যদি মুকিম অবস্থায়ই মিনায় গমন করে তাহলে তিনি মিনা, আরাফা, মুযদালিফায়ও মুকীম হিসেবেই থাকবেন। তাই এ সময়গুলোতে তিনি নামাজ কসর করবেন না। বরং বরং পূর্ণ নামাজ পড়বেন।

এমন ব্যক্তি একাকি অথবা ইমামতি করলে কিংবা মুকিম ইমামের পেছনে পড়লে পূর্ণ নামাজই পড়বেন। আর মুসাফির ইমামের পিছনে পড়লে ইমাম সালাম ফিরানোর পর, দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নিজে নিজে পূর্ণ করে নিবেন।

কিন্তু হজ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি যদি মক্কায় (মিনা, আরাফা, মুজদালিফাসহ) পনের দিন থাকার নিয়ত না করেন বরং পনের দিনের আগেই তিনি মক্কা ত্যাগ করে নিজ দেশে, মদিনায়, বা অন্য কোনো শহরে যাওয়ার নিয়ত করে থাকেন তাহলে তিনি মক্কায় (মিনা, আরাফা, মুজদালিফায়) মুসাফির গণ্য হবেন।
এমন ব্যক্তি একাকি অথবা ইমামতি করলে কিংবা মুসাফির ইমামের পেছনে পড়লে কসর পড়বেন। মুকিম ইমামের পেছনে পড়লে ইমামের ইক্তিদায় স্বরূপ পূর্ণ নামাজ পড়বেন।

মোট কথা, কেউ মক্কায় মুকিম হলে মিনা, আরাফা, মুজদালিফায়ও মুকিম হবেন। আর মক্কায় মুসাফির হলে মিনা আরাফা, মুজদালিফায়ও মুসাফির হবেন।

প্রসঙ্গত, কোনও ব্যক্তির এমন কোনও উদ্দেশে নিজ বাড়ি থেকে ভ্রমণ বা সফরে বের হওয়ার পর কমপক্ষে ৪৮ মাইল (প্রায় ৭৮ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম করলে তাকে শরীয়তের পরিভাষায় মুসাফির বলা হয়।

আর যে ব্যক্তি নিজ এলাকায় অবস্থান করছে বা নিজ এলাকার ৭৮ কিলোমিটারের কম দূরত্বে সফর করেছে তাকে শরীয়তের পরিভাষায় মুকিম বলা হয়।

তেমনিভবে ৭৮ কিলোমিটার কিংবা তারচেয়ে বেশি দূরত্বে সফরকারী পথিমধ্যে মুসাফির হলেও কোনো এক গ্রাম বা এক শহরে ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি সময় অবস্থানের নিয়ত করলে ওই স্থানে সে মুকিম হবে।

মুসাফির ব্যক্তির জন্য ইসলামে বেশ কিছু বিধান পালন সহজ করা হয়েছে। যেমন তার জন্য নামাজে কসরের বিধান দেওয়া হয়েছে এবং সফরকালীন সময়ে রোজা না রেখে পরে কাজা করে নেওয়ার বিধান রয়েছে।

কোনও ব্যক্তি সফরসম দূরত্বের উদ্দেশ্যে গ্রামের বাসিন্দা নিজ গ্রামের সীমানা ত্যাগ করার পর এবং শহরের বাসিন্দা শহরের সীমানা ত্যাগ করার পর থেকে কসর শুরু করবে। আর সফর থেকে ফেরার পথে নিজ গ্রাম বা শহরের সীমানায় প্রবেশ করার পর মুকিম হয়ে যাবে। -(বাদায়েউস সানায়ে: ১/২৬১, ২৬৮-২৭০)

মুসাফির ব্যক্তির নামাজে কসরের নিয়ম হলো- তিনি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। আর এইভাবে সংক্ষেপে নামাজ পড়ার ভেতর আল্লাহ তায়ালা কল্যাণ রেখেছেন।

আর মাগরিব, বেতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাজের কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোই পড়বে। তবে সফর অবস্থায় পথিমধ্যে তাড়াহুড়া ও ব্যস্ততার সময় সুন্নত পড়বে না। আর গন্তব্যে পৌঁছার পর সুন্নত নামাজ পড়া উত্তম।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top