দলে ফিরছেন লামিচানে, স্কটল্যান্ডের আপত্তি
 প্রকাশিত: 
 ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৮
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২০:২৬
 
                                ধর্ষণের দায়ে মাস চারেক জেল খেটেছিলেন নেপালি ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন সন্দীপ লামিচানে। গুঞ্জন ছিল, বিশ্বকাপ ক্রিকেট লিগের ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগেই ক্রিকেট খেলার ওপর লামিচানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (সিএএন)।
কারাগার থেকে মুক্তির পর নেপাল ক্রিকেট দলের অনুশীলনে যোগ দেন সন্দীপ। এরপরই নতুন করে তার ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। এদিকে, ক্রিকেটে লামিচানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘটনায় সপ্তাহজুড়ে নেপালের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। একইসঙ্গে নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ বয়কটের আহবান জানান তারা।
পরে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বুধবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘লামিচানের ক্রিকেটে ফেরা সিএএন ও আইসিসির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলায় লামিচানের অংশগ্রহণ নিয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। ক্রিকেট স্কটল্যান্ড যেকোনো ধরনের নিপীড়নের কঠোর বিরোধী। আধুনিক সমাজে নিপীড়নে জড়িতদের কোনো স্থান নেই। তাই তার ফেরার বিষয়ে সিএএন ও আইসিসিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে, গত সোমবার লামিচানের সঙ্গে সাক্ষাতের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। যদিও জানানো হয়, রিজওয়ান নেপাল ক্রিকেটের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন।
ইএসপিএনকে দেওয়া এক মন্তব্যে সিএএন’র জেনারেল ম্যানেজার ব্রিতান্ত খানাল বলছেন, ‘লামিচানের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার ওপর আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে দেশের বাইরে লামিচানের খেলা নিয়ে এখনো আদালতের অনুমোদন প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এক কিশোরীর করা ধর্ষণের মামলায় লামিচানের ওপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপরই তাকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। জানুয়ারিতে ১৫ হাজার ৩০০ ডলারের বিনিময়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হলেও চূড়ান্ত রায়ের আগে তার দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
২০১৮ সালে অভিষেকের পর ৩০টি ওয়ানডে ও ৪৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন লামিচানে। বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট এবং তৃতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে তিনি টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট শিকার করেন। পারফর্ম্যান্সের সুবাদে একপর্যায়ে তাকে জাতীয় দলের নেতৃত্বভারও দেওয়া হয়। তবে লামিচানে বেশি পরিচিতি পান বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে। আইপিএল, বিপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল ও সিপিএলে তাকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে দেখা যেত।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: