ইইউ’র সাবেক পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান
গাজায় ইসরাইলের ফেলা অর্ধেক বোমা আমাদের
প্রকাশিত:
১০ মে ২০২৫ ১০:৪২
আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ১৩:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের ফেলা অর্ধেক বোমা তাদের সরবরাহ করা বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাবেক পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। শুক্রবার (৯ মে) গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইইউ-এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
স্পেনের ইউস্তে মঠে কার্লোস ভি ইউরোপীয় পুরস্কার গ্রহণের পর বক্তৃতা দেওয়ার সময় বোরেল বলেন, ইউরোপ ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় জাতিগত নির্মূল অভিযান’ প্রত্যক্ষ করছে, যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের নির্মূলের পরে একটি ‘হলিডে রিসোর্ট’ তৈরি করা।
তিনি গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘ইইউ-র ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং প্রভাবিত করার উপায় থাকা সত্ত্বেও, তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘ইইউ যা করতে পারে তা করছে না। ’
বোরেল ইউরোপের তরুণ প্রজন্মকে একটি সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। তাদের ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর্থিক ও সামরিক একীকরণ’ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যথায় ‘ট্রাম্পের মতো বিশৃঙ্খলার নেতা’ এবং ‘পুতিনের মতো স্বৈরশাসকদের’ হাতে গঠিত বিশ্বে ইউরোপীয় সভ্যতার পতনের ঝুঁকি নিতে হবে।
তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ‘ইউরোপের প্রধান চ্যালেঞ্জ আর অভ্যন্তরীণ শান্তি নয়, বরং এটি কীভাবে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখে তা। ’
তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহে ধীর প্রক্রিয়ার জন্য ব্লককে দায়ী করেছেন। বলেছে, রাশিয়ার আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে অস্ত্রের অভাব গুরুতর পরিণতি ডেকে আনে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে প্রায় ২৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: