৯ বলের ব্যবধানে আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন জয়-মুমিনুল
প্রকাশিত:
১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪৫
আপডেট:
১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৩১
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিলেট টেস্টে দলীয়ভাবে বেশ ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরি এবং সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকের হাফসেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় দিনেই স্বাগতিকরা ৫২ রানের লিড নিয়েছিল। সেই লিড বাড়ানোর প্রত্যাশা তো ছিল–ই, একইসঙ্গে এক বছর পর সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ১৮ রানের আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হলো তাকে।
গতকাল (বুধবার) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৩৩৮ রান। অপরাজিত দুই ব্যাটার আজ (বৃহস্পতিবার) তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে বেশিক্ষণ (১৯ বল) টিকতে পারেননি। মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে ফিরলেন মুমিনুল-জয় উভয়েই। ব্যারি ম্যাককার্থির বলে আউট হয়ে মুমিনুল ৮২ এবং জয় ক্যারিয়ারসেরা ১৭১ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন।
সফরকারী আয়ারল্যান্ডের জন্য আগের দিনটা ছিল হতাশার। প্রথম ইনিংসে তাদের করা ২৮৬ রান টপকে বাংলাদেশ ৫২ রানের লিড নেয়। সে হিসেবে তৃতীয় দিনের শুরুটা দারুণভাবেই করল আইরিশরা। গতকাল ৮০ ওভার শেষে নতুন বল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি দলটির অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। আজ সকালেই তারা নতুন বল নিয়ে প্রথম আঘাতটা হানল জয়কে ফিরিয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার ম্যাককার্থির বেশ বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারকে ক্যাচ দিয়েছেন।
এর মধ্য দিয়ে জয়-মুমিনুলের ১৭৩ রানের জুটি ভাঙলো। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে জয় ২৮৬ বলে ১৭১ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৪ চার ও ৪ ছক্কার সাহায্যে। এর মাত্র ৯ বলের মাথায় ম্যাককার্থিই ফেরালেন মুমিনুলকে। ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, কিন্তু হালকা বাঁক নিয়ে সেটি ভেতরের দিকে ঢুকে যায়। মুমিনুল সম্ভবত সেটা আশা করেননি। তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বলটি দ্বিতীয় স্লিপে থাকা বালবার্নির হাতে ধরা পড়ে।
এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে দলের বিপর্যয়ের মাঝে একা দাঁড়িয়ে তিনি ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরপর ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ৩টি হাফসেঞ্চুরি আসে সাবেক এই অধিনায়কের ব্যাটে, ৮৭ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস খেললেও সেঞ্চুরির অপেক্ষাটা বাড়ছিল। সেটাই আজ আবার দীর্ঘ করলেন মুমিনুল। ১৩২ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় তিনি ৮২ রান করেন। ৩৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের লিড দাঁড়াল ৬০ রান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: