কনের বাড়িতে কাজির আগে উপস্থিত ইউএনও, বন্ধ হলো বিয়ে
প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২৫ ১২:১৭
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৫:০৬

দেশজুড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়নে সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা হাজার চেষ্টা করেও বাল্যবিবাহ ঠেকানো যাচ্ছে না। তারই উদাহরণ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর যার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পরিবার। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিলো। খবর পেয়ে গতকাল রাতে ওই বাড়িতে যান ইউএনও রুবেল রানা। এ সময় বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। পরে ইউএনওর কাছে এসে মেয়ের বাবা বাল্যবিবাহের আয়োজন করার কথা স্বীকার করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও রুবেল রানা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর মাধ্যমে কিশোরীদের ভবিষ্যৎ চিরতরে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়। গোপনে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান চালাই। গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। এ সময় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা দেন মেয়ের বাবা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: