রৌমারী সীমান্তে বজ্রপাতে টহলরত বিজিবি সদস্য নিহত
প্রকাশিত:
১৫ মে ২০২৫ ১১:১৪
আপডেট:
১৫ মে ২০২৫ ১৭:০৫

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে এক বিজিবির সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এসময় বিজিবির এক হাবিলদার, তিন বিজিবি সদস্য ও এক আনসার সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাট কড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে এ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দুজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিহত রিয়াদ হোসেন (৩২) জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপির সিপাহি ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার আটাপাড়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
আহতরা হলেন- বিজিবি সদস্য হাবিলদার মো. জসিম উদ্দিন (৫২), সিপাহি নাদিম মিয়া (২৮), সিপাহি শাহীনুর রহমান শাহীন (২৮) ও সিপাহি মামুন (২৯)। এছাড়া এঘটনায় একজন আনসার সদস্য ফেরদৌস হোসেন (৩৬) আহত হন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার ফরিদ।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১টার দিকে রৌমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা মেইন পিলারের কড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে টহল দিচ্ছিলেন একদল বিজিবির সদস্যরা এবং সঙ্গে ছিলেন এক আনসার সদস্য। এসময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতে এক আনসার ও পাঁচজন বিজিবির সদস্য গুরুতর আহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় রিয়াদ হোসেন নামের এক বিজিবির সদস্যের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে গুরুতর দুজন বিজিবি সদস্যকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তারা হলেন- সিপাহি শাহীনুর রহমান ও সিপাহী নাদিম। বাকি তিনজনকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে শিকার হয়ে এক বিজিবি সদস্যকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আরও দুই বিজিবি সদস্যের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকিদের রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রৌমারী থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান জানান, ‘সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে এক বিজিবির সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আরও পাঁচজন আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জামালপুর-৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান বলেন, ‘আহতদের সুচিকিৎসার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: