বিএনপির অশুভ কামনায় দেশের অশুভ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
 প্রকাশিত: 
 ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫:০০
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৪৩
 
                                পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে বিপদে ফেলার জন্য সব সময় চেষ্টা করেছে। তবে শকুনের দোয়ায় যেমন কখনও গরু মরে না, তেমনি বিএনপির অশুভ কামনাতেও বাংলাদেশের অশুভ কোনো কিছু হবে না।
আজ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ককে আরও গভীর করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
হাছান মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গ্রহণ করেছে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে বহু নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আইআরআই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্ক, ওআইসি ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি বলেন, তারা সবাই একযোগে মতপ্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সহিংসতা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদেশি বন্ধুদের আমাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গেছেন। আমি আজকে কাগজে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছে, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। দেখুন, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশিরভাগ নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন,যেদিন নির্বাচন হয়, সেদিন প্রচন্ড শীত ও কুয়াশা ছিল। সেই কারণে ভোটের হার প্রায় ৪২ শতাংশ, যদি কুয়াশা এবং শীত না থাকতো তাহলে আরও বেশি ভোট কাস্ট হতো। আর এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রতিহত করার জন্য বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করেছে। পাঁচ তারিখ রাতেও অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভয় লাগানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু মানুষ ভয় পায়নি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে গেছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা তাদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়াচ্ছি। আমি ন্যাম সামিটে (জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন) যাচ্ছি, সেখানে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা কূটনৈতিকভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: