৩১শ কোটি টাকার নদীবাঁধ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি
প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৫৭
আপডেট:
১৬ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৮
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষায় ৩১শ কোটি টাকার বাঁধ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাদিরপন্ডিতেরহাট বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ হয়।
জাতীয় ইমাম সমিতির জেলা সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান।
স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ মু. আনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এআর হাফিজ উল্যাহ, কমলনগর উপজেলা জেএসডির সভাপতি আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।
জামায়াত নেতা হাফিজ উল্যাহ বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে যারা এমপি হয়েছেন, তারা যদি সময়মতো সঠিক উদ্যোগ নিতেন, তবে রামগতি-কমলনগরের এত এলাকা নদীগর্ভে মিলিয়ে যেত না। এখানে এমপি-মন্ত্রী ছিলেন, অনেকে নানা পদে ছিলেন। কেউ বিরোধীদলীয় উপনেতার মতো উচ্চ পদেও ছিলেন। কিন্তু জাতিকে তারা কী দিয়েছেন? ৩১শ কোটি টাকার বাঁধ প্রকল্প থেকে সাবেক এমপি (বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান) নিজের পকেটে পার্সেন্টিস নিয়েছেন।
বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, ৩১শ কোটি টাকার প্রকল্প কীভাবে নষ্ট হলো এ নিয়ে এখন আর কথা বলে লাভ নেই। নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলতে চাই, যা বাণিজ্য হওয়ার হয়ে গেছে, আল্লাহর ওয়াস্তে আর বাণিজ্য করবেন না। কিছু টেন্ডার, রিটেন্ডার হয়েছে সেগুলোর কাজ যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হয়।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান খান বলেন, কাজের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। আগামি জুনের মধ্যে বাঁধ প্রকল্প পুরোপুরি দৃশ্যমান হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে একনেক সভায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদীতীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় ৩১শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেন। সেই লক্ষ্যেই কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক কাজের উদ্বোধন করেন। পরে কয়েক দফা কাজের সময়সীমা বাড়ানো হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর অভিযোগ ওঠে যে কয়েকজন ঠিকাদার কাজ রেখে পালিয়ে গেছেন। যারা কাজ না করে সরে গেছেন তাদের অংশে পুনরায় টেন্ডার করা হয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: