পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় বিপাকে পড়ল আইপিএলের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি
প্রকাশিত:
৭ মে ২০২৫ ১৭:৪৯
আপডেট:
৮ মে ২০২৫ ০৯:৩০

জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা ঘিরে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহের চলমান উত্তেজনা এবার সংঘাতে রূপ নিয়েছে। গতকাল মধ্যরাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে আচমকা হামলা চালিয়েছে ভারত, পাল্টা আক্রমণ চালায় পাকিস্তানও।
উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বিমান চলাচলেও। ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৮টি বিমানবন্দর। বিপাকে পড়েছে আইপিএলের দুই দল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বিমানসেবা বন্ধ থাকায় দলগুলোর ‘ট্র্যাভেল প্ল্যানে’ পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। বিমানের আরামদায়ক সফর ছেড়ে সড়কপথে যাত্রা করতে হতে পারে দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলকে।
ধর্মশালা বিমানবন্দর আগামী ১০ মে স্থানীয় সময় ভোর ৫.৩০ পর্যন্ত বন্ধ। পাঞ্জাব কিংস নিজেদের শেষ তিনটি হোম ম্যাচ খেলছে ধর্মশালায়। সেই মাঠে খেলতে গেলে সাধারণত ধর্মশালা বিমানবন্দরেই নামে দলগুলো। এই মুহূর্তে দিল্লি দল ধর্মশালায় রয়েছে। দু’দিন পরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেরও পৌঁছানোর কথা। তবে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ায় বোর্ডের যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে আপাতত।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলে দিল্লি নিজেদের শহরে ফিরবে। অন্যদিকে, মুম্বাই নিজেদের শহর থেকে ধর্মশালায় আসবে। কী ভাবে এই দুই দল যাতায়াত করবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কারণ, ধর্মশালা স্টেডিয়ামের কাছাকাছি আরও যে দুই বিমানবন্দর রয়েছে, সেই অমৃতসর এবং চণ্ডীগড়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বোর্ডের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, “আপাতত আমরা অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরও বন্ধ থাকায় আমাদের হাতে আর বিকল্প নেই। দেখা যাক কী হয়। দুটো দল ইতিমধ্যে ধর্মশালায় রয়েছে। পরের দিকে মুম্বাইও আসবে। আপাতত দিল্লি বিমানবন্দর ছাড়া হাতে কোনো বিকল্প নেই। তবে সেখান থেকে সড়কপথে লম্বা যাত্রা করে ধর্মশালা পৌঁছাতে হবে। সরকার কী নির্দেশ দেয়, সবাই সে দিকেই তাকিয়ে।”
পাঞ্জাব এবং দিল্লি এখনও কোনো নির্দেশ পায়নি। তবে মুম্বাইয়ের পরিকল্পনা বদলাতে পারে। তারা নির্ধারিত বিমানের টিকিট বাতিল করে দিয়েছে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে টিকিট বাতিল করা ছাড়া আর উপায়ও নেই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: