পাকিস্তান আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে : তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত:
২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১৬
আপডেট:
২৯ আগস্ট ২০২৫ ০১:৫৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানের পরাজয় হয়, তখন তারা উল্লাস করেছে যে ভুখা বাঙালি চলে গেছে। আমরা কালো, খাটো এজন্য বাঙালিদের অবজ্ঞা করা হতো। আমরা অনেকভাবেই পাকিস্তানের থেকে পিছিয়ে ছিলাম। আজ সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। সেই পাকিস্তান আজ আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার গঠনের পর বলেছিলেন, আমাকে ১০ বছর সময় দিন। আমি পাকিস্তানকে সুইজারল্যান্ড বানিয়ে দেব। তখন বিরোধীদল পার্লামেন্টে বলেছিল, সুইজারল্যান্ড নয়, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে বৃহত্তর নোয়াখালী কর্তৃক কল্যাণ সমিতি আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা এবং কৃতি ছাত্র-ছাত্রী ও বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনা-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকের প্রজন্মের কেউই মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছি গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেবল আমার গ্রামেই একদিনে পোড়ানো হয়েছিল ১২০০ ঘর। পুরো বাংলাদেশকে শশ্মান বানিয়েছিল পাকিস্তানিরা। এক কোটি মানুষ ভারতে চলে গিয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুহীন ছিল দেড় কোটি মানুষ। বিজয়ের পর শেখ মুজিবুর রহমান ৩ কোটি মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শূন্য থলি নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ শুরু করেছিলেন। সেসময় দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। যা আমরা এখনও পর্যন্ত অর্জন করতে পারিনি। শেখ হাসিনার শাসনামলে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.০২ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো আমাদের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেত।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে খাদ্যসংকট শুরু হয় ১৯৫০ এর মাঝামাঝি সময়ে, যখন জনসংখ্যা ছিল ৫ কোটি। ৫০ দশকের পর কৃষিজমি এক ইঞ্চিও বাড়েনি। কারণ ঢাকাশহর বড় হয়েছে। দু-লেনের রাস্তা ছয় লেন হয়েছে। জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটিতে। কিন্তু তারপরের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
বৃহত্তর নোয়াখালী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মির্জা গালিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন সৈকত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. মো শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: