সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনা সদরে ব্রিফিং
প্রকাশিত:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১০
আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৫৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী। শিগগিরই ইসির নির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সেনা সদর।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে সেনাবাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে সেনাবাহিনী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেনাবাহিনী সে অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গেই সেনাবাহিনী সেই দায়িত্ব পালন করবে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন এবং ব্যালট ছিনতাইয়ের আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ তবে এই নির্বাচন গণতন্ত্রের চর্চায় ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন তারা।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা সামাজিক মাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য ছড়াচ্ছেন—এমন অভিযোগ নিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য মানুষ জানে। এসব প্রোপাগান্ডা কেউ বিশ্বাস করে না। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
গত ৫ আগস্ট হারানো অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কেবল সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোথাও কিছুটা সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। যেমন—পুলিশ জানে না, সেনাবাহিনী জানে না—তখন কিছুটা দেরি হয়। তবে সেনাবাহিনী মাঠে নামলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’
মব ভায়োলেন্স সম্পর্কে কর্নেল শফিকুল জানান, সোর্স থেকে তথ্য পেতে দেরি হওয়ায় কখনো কখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কখনো মব হতে দেওয়া হয়নি। রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের ঘটনায় সেনাবাহিনী দেরিতে পৌঁছায়—এ অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরে সেনাবাহিনী উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’
মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানের ঘটনা প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই এই দেশটির জন্ম। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান সব সময়ই রাখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: