আ.লীগের অফিস বন্ধ করতে ভারতকে বাংলাদেশের বার্তা
প্রকাশিত:
২০ আগস্ট ২০২৫ ১৯:২৫
আপডেট:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ০৩:২৮

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতাদের একটি বড় অংশ এখন অবস্থান করছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সেখানে বসেই তারা রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং দেশে ফেরার চেষ্টা করছে। দেশে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকার পরও প্রতিদিন নানা উস্কানি দিচ্ছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিল্লিতে আওয়ামী লীগ একটি কার্যালয় চালু করেছে। জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত দলটি যেন দিল্লিতে অফিস খুলে কার্যক্রম চালাতে না পারে সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ও ফৌজদারি মামলায় পলাতক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এখনো ভারতে অবস্থান করছেন। দেশটিকে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে কয়েকজন গত ২১ জুলাই দিল্লি প্রেসক্লাবে একটি এনজিওর ব্যানারে সভা করার চেষ্টা করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের প্রতি স্পষ্ট অবমাননা। এতে শুধু দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার সম্পর্কই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বরং বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক রূপান্তর প্রক্রিয়াতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাংলাদেশে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ঢাকা-নয়া দিল্লি সম্পর্কের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: