বুধবার, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬শে ভাদ্র ১৪৩২


মধ্যরাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠক

নেপালে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা সেনাবাহিনীর


প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫৬

আপডেট:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:০২

ছবি : সংগৃহীত

নেপালের সেনাপ্রধানের সঙ্গে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আলোচনায় বসেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি-দাওয়া শোনের সেনাপ্রধান।

বুধবার নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনা হতে পারে। সেই প্রস্তুতি চলছে। এই আলোচনা বৈঠকে মধ্যস্থতার ভূমিকা নেবে নেপালের সেনাবাহিনী।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী। বিক্ষোভকারীরা ত্রিভুবন বিমানবন্দর দখলের চেষ্টা করছে বলে জানা যায়। তার পরেই বিমানবন্দর চারপাশ থেকে ঘিরে ফেরে সেনাবাহিনী। বর্তমানে আংশিক স্থগিত রয়েছে পরিষেবা।

ইন্ডিগো ও নেপাল এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যেই দিল্লি- কাঠমান্ডু বিমান পরিষেবা স্থগিত রেখেছে। প্রতিদিন এয়ার ইন্ডিয়ার ছয়টি বিমান এই পথেই (দিল্লি-কাঠমান্ডু) পরিষেবা দেয়। তবে মঙ্গলবার ওই বিমান সংস্থা চারটি বিমান বাতিল করেছে।

প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবারই দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি জানান, প্রতিবেশী রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন জরুরি। নেপালের নাগরিকদেরও শান্তি বজায় রাখতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

ভারত-নেপাল সীমান্তেও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। সীমান্তের ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করা হয়েছে। নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাঁচ রাজ্যেই সীমান্তে তৎপরতা বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফার পর বর্তমানে নেপালের দায়িত্বে সেনাপ্রধান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা। নেপাল সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবন নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

লুটপাট চালালে, ভাঙচুর করলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে- এমনটাই জানিয়ে নেপালের সেনাবাহিনী। দেশের নাগরিকদেরও সহযোগিতা চেয়েছে তারা। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেপাল সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবনও।

ছাত্র-যুবকদের বিদ্রোহে অশান্ত নেপাল। সমাজমাধ্যমের ওপর নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরই অশান্তির আগুন ছড়াতে শুরু করে ভারতের প্রতিবেশী দেশে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অন্য চেহারা নেয় মঙ্গলবার।

সমাজমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেও কোনও লাভ হয়নি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নেপাল। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, আর্থিক বৈষম্যের মতো বিষয়গুলি সামনে চলে আসে।

আন্দোলনকারীদের রোষের মুখে পড়ে নেপাল সরকার। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগও আগুন থামাতে পারেনি। বুধবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ালেও থমথমে পরিস্থিতি নেপালে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top