গ্রামে মহাভোজ!
শতবছর বয়সে ‘দুধের দাঁত’ গজিয়েছে বৃদ্ধের
প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৪৬
আপডেট:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:০৫

বয়সের সেঞ্চুরি পার করেছেন অনেক আগে। একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। নাতি-নাতনিদের নিয়ে বেশ কাটছে জীবন নৃপেন্দ্র বর্মণ। এর মধ্যে পরিবারে খবর এলো খুশির খবর, বৃদ্ধের ফের দুধের দাঁত গজিয়েছে! পুরো বাড়িতে শুরু হয়ে গেল উৎসবের আমেজ। বৃদ্ধের ‘অন্নপ্রাশনের’ অনুষ্ঠান ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে গেছে পুরো গ্রামে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা কোচবিহারের বড় হলদিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নৃপেন্দ্র বর্মণ। ওই গ্রামের প্রবীণতম মানুষ হয়তো তিনিই। গ্রামের সবার কাছেই তিনি এখন দাদু বলে পরিচিত। ভোটার কার্ডের হিসেব ধরলে তার বয়স এখন ১০২ বছর। যদিও তিনি দাবি করেন, তার বয়স এখন ১১৩ বছর। তিন প্রজন্ম ওই বাড়িতেই থাকে। পরিবারের তার তিন ছেলে চার মেয়ে। নাতি-নাতনির সংখ্যা ৩৪। নাতি-নাতনিরা দাদুকে নিয়ে সবসময় মশগুল থাকে। বয়সের ভারে, প্রাকৃতিক নিয়মে আগেই বৃদ্ধের অনেক দাঁত পড়ে গিয়েছেন। হাতে গোনা কিছু দাঁতও প্রায় ক্ষয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি নাতি-নাতনিরা লক্ষ্য করেন দাদুর ফের দাঁত গজাচ্ছে। মুখের মাড়ি ফুঁড়ে ধবধবে সাদা তিনটি ‘দুধের দাত’ দেখা গেছে। আর তারপরই নতুন করে দাদুকে নিয়ে নাতি-নাতনির মধ্যে উৎসাহ দেখা যায়। আহ্লাদে আটখানা হয় নাতি-নাতনি থেকে পরিবারের সদস্যরা। ঠিক হয় দাদুর ‘অন্নপ্রাশন’ করা হবে। আর তা হবে বেশ জাঁকজমক করে। শুক্রবার সেই অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান ঘিরে হইহই কাণ্ড দেখা গেল গ্রামে। এলাকার মানুষজন তো উপস্থিত ছিলেনই। নিমন্ত্রণরক্ষা করতে এসেছিলেন হলদিবাড়ির বিডিও রেঞ্জি লামু ভুটিয়া, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা। সবাই নৃপেন্দ্র বর্মণের দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
বৃদ্ধ নৃপেন্দ্র বর্মণ এখনও শরীরে যথেষ্ঠ শক্তসমর্থ। একাই হেঁটেচলে বেড়াতে পারেন। একসময় তার বাড়ি ছিল অধুনা বাংলাদেশের রঙপুর জেলার মুক্তির হাটের ভোগডাবুড়ি গ্রামে। ১৯৭২ সালে তিনি ভারতে এসেছিলেন। তখন থেকেই তিনি ওই এলাকায় বসবাস করছেন তিনি। বৃদ্ধ বয়সে এমন অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানে তিনি যথেষ্ঠ লজ্জা পেয়েছেন। গাল ভরা হাসি দেখা গিয়েছে নৃপেনের মুখে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: