২০ দিনে গাজার এক হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইল
প্রকাশিত:
২৫ আগস্ট ২০২৫ ১০:১২
আপডেট:
২৫ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩১

গাজা শহরের জেইতুন এবং সাবরা এলাকায় এক হাজারেরও বেশি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস করেছে ইসরাইল। যার ফলে শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
গত ৬ আগস্ট থেকে শুরু করা হামলায় এসব ভবন ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। খবর আল জাজিরার।
রোববার (২৪ আগস্ট) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, চলমান গোলাবর্ষণ এবং প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে অনেক উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজা শহরে ইসরাইলি বাহিনীর ক্রমাগত অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে, এমন সময়ে যখন মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের চলমান ইসরাইলি আক্রমণের তীব্রতা মোকাবিলা করার ক্ষমতা নেই।
সংস্থাটি সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার কোথাও নিরাপদ এলাকা নেই— উত্তর থেকে দক্ষিণ— সবখানেই বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে ঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি ত্রাণ শিবির পর্যন্ত বোমা বর্ষণ চলছে।
গাজা শহর পুরোপুরি দখলে নিতে ইসরাইলি সেনারা ট্যাংক নিয়ে সাবরা এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্সের এই তথ্য বহু মানুষের আশঙ্কা সত্যি করছে যে, ইসরাইল পুরো গাজা শহর ধ্বংস করতে চাইছে— যেমনটি তারা রাফাহ শহরে করেছিল।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, এর লক্ষ্য হতে পারে গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে উৎখাত করা।
শহরের আল-জালাআ সড়কে একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজন শিশু রয়েছে বলে জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইদিনে গাজায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান ২৪ জন। অন্যদিকে অনাহার ও অপুষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে আরও ৮ জনের।
এসএন/রুপা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: