সোমবার, ২৫শে আগস্ট ২০২৫, ১০ই ভাদ্র ১৪৩২


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে: হুঁশিয়ারি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৫:১৪

আপডেট:
২৫ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪৭

ছবি সংগৃহীত

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে একটি বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে, যা শেষ পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গড়াতে পারে।

শনিবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

রোমানিয়ার বাইল তুসনাদ শহরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একাধিক সংকট একসঙ্গে গভীর হচ্ছে। তার মতে, বিশ্বজুড়ে সংঘাতের সংখ্যা বৃদ্ধি, অস্ত্র প্রতিযোগিতার তীব্রতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য বাধার প্রসার, সামরিক জোটগুলোর বিভাজন এবং দরিদ্র অঞ্চল থেকে ধনী অঞ্চলে অভিবাসনের হার বৃদ্ধি—এসবই বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে।

অরবান বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যেকোনো সামরিক সংঘর্ষ সরাসরি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটাতে পারে। তিনি জানান, যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলে বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি কিছুটা কমতে পারে, তবে হুমকি একেবারে মুছে যাবে না।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কেউ এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যা বিশ্ব পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে অথবা বড় পরিসরের সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত-এর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। দুই দেশের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘাত নিরসনে তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, আমি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি অত্যন্ত ভালো কথা বলেছি এবং তাকে থাইল্যান্ড ও সেখানকার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলোচনার কথা জানিয়েছি। দুই পক্ষই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়। তারা আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনায় ফিরতে চায়, তবে সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তা অনুপযুক্ত মনে করি।

তিনি জানান, উভয় দেশ দ্রুত বৈঠকে বসতে এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, এই দুই দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি গৌরবময়। আশা করি, ভবিষ্যতে তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকবে। শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করবো।

এর আগে ২৪ জুলাই সকালে কম্বোডিয়ার ওড্ডার মিনচি প্রদেশের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। থাই সামরিক বাহিনীর দাবি, কম্বোডিয়ার বাহিনী থাই আবাসিক ভবন ও হাসপাতাল লক্ষ্য করে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করলে তারা পাল্টা হামলায় যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে।

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top