মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১১ই ভাদ্র ১৪৩২


বিদ্রোহীদের হামলায় থাইল্যান্ড পালাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তা সৈন্যরা


প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৫ ১৯:৪৪

আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪৪

ছবি সংগৃহীত

মিয়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে জাতিগত বিদ্রোহীদের হামলার পর ৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও সেনাসদস্য সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। শনিবার মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কায়িন রাজ্যে জান্তার ঘাঁটিতে হামলার পর তারা পালিয়েছেন বলে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধের কবলে রয়েছে। তখন থেকেই দেশটির জাতিগত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোটের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী।

থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে কায়িন রাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ)।

‌‌‘‘মিয়ানমারের সৈন্যরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে গোলাবারুদের সহায়তা চান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি।’’

থাই কর্তৃপক্ষ বলেছে, শনিবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য ও ৪৬৭ বেসামরিক নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন। থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিয়ানমার থেকে আসা সৈন্যদের নিরস্ত্র করেছে। পরে তাদের চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলীয় তাক প্রদেশ লাগোয়া মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বিদেশি সশস্ত্র বাহিনীর সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন প্রতিরোধের লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে থাইল্যান্ডের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কেএনএলএর রাজনৈতিক শাখার নেতা স্য থামেইন তুন বলেন, থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে জান্তা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সম্মুখসারির কিছু চৌকি দখলে নিয়েছে যৌথবাহিনী।

‘‘মিয়ানমারে কিছু সৈন্য আমাদের যৌথবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন।’’

দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে কারেন জাতিগত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। বর্তমানে তারা সীমান্ত অঞ্চলে জান্তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মিয়ানমারের দীর্ঘ এই গৃহযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিয়ানমারের প্রায় ৮১ হাজার শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন।

দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী কারেন জনগণের জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে লড়াই চালিয়ে আসছে কেএনএলএ।

সূত্র: এএফপি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top