আইনি জটিলতার মাঝেই শিল্পা-রাজ দম্পতির রহস্যজনক বার্তা
প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৯
আপডেট:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:১৫

বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি এবং তার স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন দিল্লির ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি। বিষয়টি তদন্তে সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা রাজ কুন্দ্রার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। তাকে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে রহস্যজনক বার্তা শেয়ার করেছেন এই দম্পতি।
রাজ কুন্দ্রা সম্প্রতি তার পাঞ্জাবি ছবি মেহর থেকে কয়েকটি অংশ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন। ছবিটি গীতা বসরার সঙ্গে তাঁর প্রথম পাঞ্জাবি সিনেমা। স্টোরিগুলোতে দেখা গেছে দর্শকপূর্ণ সিনেমা হল এবং প্রশংসাসূচক পোস্ট। আইনগত জটিলতা ঘিরে বিতর্ক চললেও রাজ কুন্দ্রা এসব নিয়ে যেন ফুরফুরা মেজাজে।
অন্যদিকে, শিল্পা শেঠি ইনস্টাগ্রামে মানসিকতার ওপর একটি নোট শেয়ার করেছেন। সেখানে লেখা, ‘সঠিক মানসিকতা সম্পন্ন মানুষকে কোনো কিছুই তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা হতে পারে না, আর ভুল মানসিকতা সম্পন্ন মানুষকে পৃথিবীর কোনো শক্তিই সাহায্য করতে পারে না।’
সোমবার মুম্বাই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা রাজ কুন্দ্রার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। তাকে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গণমাধ্যমের নজর এড়াতে গোপন স্থানে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজ কুন্দ্রাকে আবারও ডাকা হতে পারে। কারণ, একাধিক সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া বাকি আছে। তবে এখনো পর্যন্ত শিল্পা শেঠিকে তলব করা হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।
রাজ-শিল্পার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোমে মামলাটি করেন দিল্লির ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি (৬০), যিনি লোটাস ক্যাপিটাল ফাইন্যান্স সার্ভিসের একটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
অভিযোগ অনুযায়ী, শিল্পা ও রাজের বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থা বেস্ট ডিল টিভি প্রাইভেট লিমিটেডে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি ৬০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছিলেন। ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হলেও সেই রুপি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শিল্পা ও রাজ।
দীপক কোঠারি জানান, যখন তিনি ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেন তখন ৮৭ শতাংশ শেয়ার শিল্পার নামে ছিল। তার কাছে মোট ৭৫ কোটি রুপির ঋণ চাওয়া হয়েছিল। একবারে নয়, ধাপে ধাপে শিল্পা ও রাজের সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন দীপক। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ৩১.৯৫ কোটি রুপি দেন তিনি। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ফের কিছু রুপি দেন। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে দেন আরও ২৮.৫৪ কোটি রুপি। সবমিলিয়ে ৬০.৪৮ কোটি রুপির চুক্তি হয়েছিল। স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদও ৩.১৯ লক্ষ রুপি খরচ হয়। সূত্র: এনডিটিভি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: