বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা, জবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৫:০৮
আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৩২

শাহবাগে বুয়েট ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজিত করে।
মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সেক্রেটারি হাসান মাহদী বলেন, আজকে জুলাই আন্দোলনের একবছর অতিক্রম করার পরও আমাদের সেই পুলিশি স্টেট নিয়ে কথা বলতে হয়। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে জুলাই-আগস্টে ইন্টেরিম সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তারা ছাত্রদের রক্তের ওপর বসে আছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত ১৭ বছর পুলিশের যে চরিত্র তৈরি করেছিল তা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা শুধু বুয়েটের শিক্ষার্থী না, প্রতিটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জাতীয় আন্দোলনের প্রয়োজনে সবার আগে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। কিন্ত পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি মেনে নেওয়া হয় না।
ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাইন আল মুবাশ্বির বলেন, আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম; কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কার হচ্ছে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীরা যেকোনো আন্দোলনে নামলেই তাদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে ৫ আগস্টের পর আমাদের দাবি পূরণের জন্য আর কোনো শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরাতে হবে না। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়ানো ইন্টেরিম সরকার। কিন্তু যেকোনো আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের রক্ত না ঝরলে তাদের ঘুম ভাঙ্গে না। আমরা প্রশ্ন রেখে যেতে চাই যে, পুলিশ হাসিনার পেটোয়া বাহিনী গত ৫আগস্টের সময় হাজার হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। অনেক মানুষকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে পুলিশের হামলার কারণে। বুয়েটের মতো দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর এসব হামলার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা যে কারণে জুলাই আন্দোলন করেছিলাম সেই রক্তের ওপর বর্তমান সরকার দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমান সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়গুলো সমাধান করা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি আগের সেই রোবটিক সিস্টেমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দাঁড়ানো অথচ শিক্ষাকে সংস্কার করার জন্য কোনো কমিশন গঠিত হয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: