রবিবার, ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ৯ই ভাদ্র ১৪৩২


ভোজ্যতেলের দাম কমাতে আগ্রহী সরকার, ব্যবসায়ীদের ‘না’


প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২৫ ১১:২৫

আপডেট:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ২০:১২

ছবি সংগৃহীত

সয়াবিনসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম কমাতে সরকার আগ্রহী থাকলেও ব্যবসায়ীরা রাজি নন। দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। রোববার দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফার বৈঠক হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

দীর্ঘ সময় আলোচনা পরও দাম কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

রোববার (২৭ জুলাই) ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে দাম কমানোর এই আলোচনা সিদ্ধান্তহীনতায় শেষ হয়েছে।
এর আগের বৈঠকটিও শেষ হয় ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন, ভোক্তা অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধি, ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিটি, মেঘনা, টি কে, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ট্যারিফ কমিশন ভোজ্যতেলের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল, যা উপস্থাপন করা হয় প্রথম বৈঠকে। কমিশনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ১৫ জুলাইয়ে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের এফওবি মূল্য ছিল যথাক্রমে এক হাজার ৭৯ মার্কিন ডলার এবং এক হাজার ১৭ মার্কিন ডলার, যা গত ১৫ এপ্রিল ছিল এক হাজার ৩ মার্কিন ডলার এবং এক হাজার ৫২ মার্কিন ডলার।

এই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের মূল্য বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ এবং পাম তেলের মূল্য কমেছে ৩ শতাংশ।

এ অবস্থায় অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার খোলা পাম তেলে ১৯ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে এক টাকা দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। যে কারণে তেলের দাম ওই পরিমাণে কমানোর প্রস্তাব করা হয়।

কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলেন, ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের যে দাম তা প্রতিবেদেনে ওঠে আসেনি। ফলে সভায় সরকার দাম কমানোর বিষয়ে বললেও সেটা যৌক্তিক নয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার আমদানি করা সয়াবিন তেলের যে উৎপাদন মূল্য হিসাব করেছে সেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাটের হিসাব আমলে নেয়নি। আন্তর্জাতিক দাম ঠিকভাবে আমলে নিতে পারেনি। যে কারণে হিসাব ভুল হয়েছে।

গত ১৫ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম নির্ধারণ করে। সে সময় এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯২২ টাকা, এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৬৯ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর পর আর মূল্য সমন্বয় করা হয়নি।

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top