ভর্তির টাকা দিয়ে বাবার দাফন সারলেন মেয়ে
প্রকাশিত:
১০ আগস্ট ২০২২ ২২:২৬
আপডেট:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৫৫

উত্তরা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হতে গত ৬ আগস্ট বাবার কাছ থেকে ১২ হাজার ৮০০ টাকা নিয়েছিলেন বিথী আক্তার নামের এক ছাত্রী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম পূরণ করলেও শেষ পর্যন্ত টাকা জমা দিতে পারেননি। পরে ওই টাকা দিয়েই বাবার দাফনের কাজ সারেন বিথী।
জানা গেছে, টাকা জমা দেওয়ার সময় জানতে পারেন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে বিথীর বাবা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। খবর শোনা মাত্রই ভর্তি না হয়ে ছুটে যান হাসপাতালে। সেদিন রাতেই মারা যান বাবা গাজী মাজহারুল ইসলাম।
বিথী জানান, ভর্তির জন্য টাকা জমা দেওয়ার সময় বাবার দুর্ঘটনার খবর শুনে ভর্তি না হয়েই হাসপাতালে চলে যান। ভর্তির সেই টাকায় অবশেষে বাবার দাফন হয়েছে। এখন বাবা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নও আর দেখেন না তিনি।
মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা আক্তার জানান, রিকশার গ্যারেজের ব্যবসা ভালো চলছিল না। তাই ৬ মাস আগে তার স্বামী গ্যারেজের পাশেই ভাঙারির দোকান দেন। ওই দোকানে কাজ করার সময় হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট বেলা পৌনে ১২টার দিকে তুরাগ কামারপাড়া রাজাবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় গাজী মাজহারুলের রিকশার গ্যারেজের ভেতরে গড়ে তোলা ভাঙারির দোকানে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে সাতজনই মারা গেছেন। আর একজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: