নেপালে জেনারেশন জেড বিক্ষোভের সময় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পৌঁছেছে, পাশাপাশি আহত হয়েছে ১,৩৬৮ জন। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অধিকাংশকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে হিমালয়ান টাইমস।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডঃ প্রকাশ বুধাথোকি জানান, আহতদের মধ্যে অধিকাংশকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯৪৯ জন রোগী হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
হাসপাতালে মৃতের মধ্যে ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারে ৮ জন, সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে ৬ জন, ভেরি হাসপাতালে ৫ জন, ফ্রন্টলাইন ও এভারেস্ট হাসপাতালে ৩ জন করে, বি পি কৈরালা ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস এবং কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে ২ জন করে, বায়োদা হাসপাতালে ২ জন, ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতাল, বি অ্যান্ড সি হাসপাতাল বীরতমোড ও বীরতা সিটি হাসপাতালে ১ জন করে নিহত হয়েছে।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে ট্রমা সেন্টারে ৫৮ জন, সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে ৪৮ জন, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে ৩৫ জন, ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে ২৫ জন এবং বীরেন্দ্র মিলিটারি হাসপাতালে ২৬ জন রয়েছেন। প্রাদেশিক প্রশাসন এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি হাসপাতালে অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় চালিয়ে যাচ্ছেন, যেহেতু দেশজুড়ে কিছু অঞ্চলে বিক্ষোভ এখনো চলমান রয়েছে।
নেপালের জেনজি বিক্ষোভ মূলত যুব সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষোভের প্রতিফলন। এই আন্দোলন বেশির ভাগই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে এবং এতে অংশগ্রহণকারী তরুণরা সরকারি দুর্নীতি, সামাজিক অন্যায় এবং নাগরিক অধিকার হরণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে।