38415

09/10/2025 অমুসলিমকে রক্ত দেওয়া-নেওয়া যাবে?

অমুসলিমকে রক্ত দেওয়া-নেওয়া যাবে?

ধর্ম ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১৯

প্রশ্ন: অমুসলিম প্রতিবেশী থেকে রক্ত নেওয়া বা কোনো অমুসলিমকে রক্ত দেওয়া যাবে কি?

উত্তর: জরুরি অবস্থায় অমুসলিমের রক্ত কোনো মুসলমানের দেহে প্রবেশ করানোতে ইসলামে বাধা নেই। একইভাবে কোনো অমুসলিমকে রক্ত দেওয়াও নিষিদ্ধ নয়।

অমুসলিম ব্যক্তিরা বিশ্বাসগত অপবিত্র হলেও শারীরিক দিক থেকে অপবিত্র নয়। আর অমুসলিমদের রক্ত দান করতে কোনো বাধা নেই; বরং মানুষ হিসেবে মুসলিম-অমুসলিম তথা সব মানুষের প্রতি উদার মনোভাব ইসলামের শিক্ষা।

এটাই মূল কথা যে মুসলিম আর অমুসলিমের রক্তে কোনো প্রভেদ নেই। তবে রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মুসলিম কাউকে পাওয়া গেলে তার রক্ত নেওয়া উত্তম।

মুফতি শফি রহ. বলেন, ‘রক্ত মানবদেহের অংশবিশেষ। দেহ থেকে নির্গত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নাপাক হয়ে যায়। আর নাপাক বস্তুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ কারণে এবং সৃষ্টির সেরা জীব মানব অঙ্গের মর্যাদার কথা বিবেচনা করে স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তদান নিষিদ্ধ হওয়ার কথা।

তবে অস্বাভাবিক অবস্থায় বিশেষত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইসলাম যেহেতু কিছুটা শিথিলতা প্রদর্শন করেছে, তাই বিশেষ বিবেচনায় রক্তদানকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর কারণ হলো, রক্তের দেহান্তর ও অঙ্গান্তরে কোনো রকম কাটা-ছেঁড়ার প্রয়োজন হয় না; বরং ইনজেকশনের মাধ্যমে খুব সহজেই তা দেহ থেকে দেহে স্থানান্তর করা যায়। যেভাবে কাটা-ছেঁড়া ছাড়া মায়ের দুধ শিশুর দেহে স্থানান্তরিত হয়ে শিশুর দৈহিক বিকাশে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।

আর শিশুকে দুগ্ধপান করানো শুধু বৈধ নয়; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওয়াজিব বা অত্যাবশ্যকীয়ও বটে। তা ছাড়া রক্তদান করলেও প্রাকৃতিকভাবে দেহের মধ্যে নতুন রক্তের সঞ্চার করে থাকে। অতএব যখন কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মতে, অন্যের রক্ত ছাড়া রুগ্‌ণ ব্যক্তির জীবন-মরণ সংকট সৃষ্টি হয়, সে ক্ষেত্রে তাকে রক্তদান করা বৈধ। তবে রক্ত বিক্রি করা কোনো অবস্থায়ই বৈধ নয়।’

(ফিকহুল বুয়ু : ১/৩০৮; জাওয়াহিরুল ফিকহ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৪০)

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]