মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ছয় লাখ চীনা শিক্ষার্থী আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। যদিও তার প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা নীতিতে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন শিক্ষার্থী ও অর্থনীতির ভারসাম্য বিবেচনা করে নীতি সমন্বয় করছে।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তাদের (চীনা) শিক্ষার্থীদের আসতে দেব। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ছয় লাখ শিক্ষার্থী। তবে আমরা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখব।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে বেইজিংকে বিরল আর্থ চুম্বকের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা আছে। তবুও তিনি আশ্বাস দেন, বাণিজ্য উত্তেজনা চীনা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় প্রভাব ফেলবে না।
এর আগে ট্রাম্পের প্রশাসন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন,‘আমরা চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা যাচাই-বাছাই বাড়াব এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভিসা আগ্রাসীভাবে বাতিল করা হবে।’
লরা লুমার চীনা শিক্ষার্থীদের ‘সিসিপি গুপ্তচর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেন, তাদের ভর্তি বন্ধ করা উচিত। একই সঙ্গে রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেলর গ্রিনও একই মত পোষণ করেছেন।
অন্যদিকে বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছেন, ‘চীনা শিক্ষার্থীদের না নিলে, আমেরিকার ১৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তিসঙ্গত অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’
ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্ত তার প্রশাসনের পূর্ববর্তী নীতির বিপরীত। মে মাসে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, বিশেষ করে যারা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান পদক্ষেপে দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রাপ্যতা এবং মার্কিন অর্থনীতির ওপর প্রভাব বিবেচনা করে প্রশাসন নীতি সমন্বয় করছে। এটি মার্কিন-চীন সম্পর্কের সূক্ষ্ম ভারসাম্য এবং বাণিজ্য ও শিক্ষার মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের দিককে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
এসএন/রুপা