37081

08/26/2025 মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নরকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নরকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৩:১২

বন্ধকি ঋণ (মর্টগেজ) নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর বোর্ডের অন্যতম সদস্য লিসা কুককে বরখাস্ত করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করে। তাই প্রেসিডেন্টের এ ধরনের পদক্ষেপ নজিরবিহীন। বিষয়টি আদালতে গড়ালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুক ফেডারেল রিজার্ভের ‘‘বোর্ড অব গভর্নরসে’’র ৭ সদস্যের একজন। ব্যাংকটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম আফ্রিকান বংশাদ্ভূত নারী, যিনি গুরুত্বপূর্ণ এমন পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ২০২২ সালে তাকে এ পদে নিয়োগ দেন।

কুককে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, ‘‘তাকে বরখাস্ত করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে। অভিযোগ হলো, ২০২১ সালে মিশিগান ও জর্জিয়ার দুটি বাড়ির ওপর আলাদা বন্ধকি ঋণ (মর্টগেজ) নেন কুক। উভয় ক্ষেত্রেই কাগজপত্রে বাড়ি দুটিকে নিজের প্রধান বাসস্থান হিসেবে দেখান তিনি।’’

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম পুলটে কুকের বিষয়টি তোলেন এবং তদন্তের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির কাছে পাঠান। এর পর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে।

ফেডারেল রিজার্ভের ১১১ বছরের ইতিহাসে একজন গভর্নরকে এভাবে বরখাস্ত করার ঘটনা আগে কখনোই ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে কুক কিংবা ফেডারেল রিজার্ভ, কেউই কোনো মন্তব্য করেননি।

সাধারণত ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নরদের মেয়াদ দীর্ঘ হয়, যা কোনো প্রেসিডেন্টের মেয়াদের সঙ্গে শেষ হয় না। লিসা কুকের মেয়াদ ২০৩৮ সাল নাগাদ শেষ হওয়ার কথা। তবে আইন অনুযায়ী, গুরুতর কারণে একজন গভর্নরকে অপসারণ করা সম্ভব।

কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপ আগে কখনো দেখা যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ফেডারেলকে সবসময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার চেষ্টা করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নীতিতে মানুষের আস্থা ধরে রাখাই ছিল তাদের এমন চেষ্টার লক্ষ্য।

আইনবিশেষজ্ঞ ও ইতিহাসবিদেরা বলছেন, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ হলে নানা জটিল প্রশ্ন উঠবে। যেমন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা, ফেডের বিশেষ কাঠামো, ইতিহাস। কুক আসলেই আইন ভেঙেছেন কি না, তা নিয়েও বিতর্ক হবে।

ট্রাম্প তার চিঠিতে কুকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অপরাধমূলক আর্থিক আচরণ-এর অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘কুকের সততা ও যোগ্যতার ওপর আমার আস্থা নেই। এ ঘটনায় আর্থিক লেনদেনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, যা একজন আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।” ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ ও ১৯১৩ সালের ফেডারেল রিজার্ভ আইনের অধীন লিসা কুককে বরখাস্তের ক্ষমতা তার আছে বলে দাবি করেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]