বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) বহির্বিভাগকে উৎকৃষ্ট চিকিৎসাসেবার মডেল হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহির্বিভাগ হলো হাসপাতালের রোগীদের প্রথম যোগাযোগের কেন্দ্র। তাই এখানে প্রতিটি সেবা হতে হবে রোগীকেন্দ্রিক, সময়োপযোগী এবং সর্বোপরি মানবিক। আমাদের লক্ষ্য হবে ওপিডিকে এমন এক উৎকৃষ্ট চিকিৎসাসেবার মডেল হিসেবে গড়ে তোলা, যেটি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা: বর্তমান ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএমইউ’র বহির্বিভাগ সেবাকে আরও উন্নত ও রোগীবান্ধব করতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বহির্বিভাগ-১ ও ২ এ কর্মরত মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আউটসোর্সিং স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, রোগীকে সেবা দেওয়া কেবল একটি প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়; এটি মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত মহান কাজ। আমাদের মনে রাখতে হবে, চিকিৎসা কার্যক্রমে দায়িত্বশীলতা, সহানুভূতি ও সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও রোগীর প্রতি সম্মান দেখানো হলো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার প্রথম শর্ত।
তিনি আরও বলেন, ওপিডি হচ্ছে অ-জরুরি চিকিৎসা, রোগ নির্ণয়, ছোট সার্জারি ও পুনর্বাসনের কেন্দ্র। এর কার্যকারিতা বাড়লে হাসপাতালে ভিড় কমবে এবং স্বাস্থ্যসেবা আরও সুসংগঠিত হবে।
চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ওপিডিতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগী আসেন। চাপমুক্ত ও দ্রুত সেবা দেওয়া বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এর সমাধান হতে পারে চিকিৎসক ও কর্মীদের মধ্যে আরও ভালো সমন্বয়, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, এবং প্রতিটি ধাপে শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
এ সময় তিনি কোরআনের ‘সূরা তাওবার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন এবং মুত্তাকীর একটি বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত আমাদের প্রত্যেককে এ দায়িত্ববোধ মনে রাখতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস শাকুর, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জেবা উন নাহার (ডোনা)।