মিথ্যা দলিল তৈরি করে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের মামলায় আবাসন নির্মাণপ্রতিষ্ঠান ইনডেক্স প্রপার্টিজ লিমিটেড এর পরিচালক এম.এন. জাহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় আসামি জাহিদুল প্রথমে উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। তবে নির্ধারিত সময় শেষে তিনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হননি। গত ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। পরে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বাইলজুরি মৌজায় পাঁচ কাঠা জমির মিথ্যা দলিল তৈরি করে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগে জাহিদুলসহ চারজনকে আসামি করে ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন ভোরের আলো কল্যাণ সংস্থা এনজিওর ভাইস চেয়ারম্যান লাবনী রহমান।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, ২০০৫ সালে তিনি বাইলজুরি মৌজায় আড়াই কাঠা জমি কেনেন। সেখানে আট রুমের একতলা বাড়ি তৈরি করে তিন রুম নিজের জন্য রেখে বাকি পাঁচ রুম ভাড়া দেন। ২০১৪ সালের মার্চে টাকার প্রয়োজনে তিনি বাড়িটি ৭০ লাখ টাকা দাম ধরে বিক্রির জন্য আসামি জাহিদুলের কাছে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে অরেজিষ্ট্রি বায়না দলিল সম্পন্ন করেন। এক মাস পরে জাহিদুল রেজিষ্ট্রেশন খরচ কমাতে জায়গার দাম ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ধরে ১৫ লাখ প্রদান দেখিয়ে বায়না দলিল বেআইনিভাবে রেজিস্ট্রেশন করে নেন। এরপর বাদী বায়না দলিল সম্পন্ন হওয়া জমির লাগোয়া দাগে আরও আড়াই কাঠা জমি কেনেন। পরবর্তীতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অস্ত্রের মুখে বাদীর কাছ থেকে জোর করে কয়েকটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপসই নেন। এরপর আসামিরা বাদীকে তার জায়গা থেকে উচ্ছেদ করেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদীর মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিএম/রিয়া