31821

05/09/2025 ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান কাটা শুরু

ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান কাটা শুরু

জেলা সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ

৮ মে ২০২৫ ১৮:৩২

ঝিনাইদহে সমলয় চাষাবাদে উৎপাদিত বোরো ধান কর্তন উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। উদ্বোধন শেষে সমলয় পদ্ধতিতে আবাদকৃত বোরো ধান কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে কাটা শুরু করা হয়।

সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় গাগান্না ও রাজনগর গ্রামের ১১৫ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার করে শ্রমিক সংকট নিরসন, সময়ের অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ করা হয়।

ধান কর্তন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) সেলিম রেজা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ- নবী, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. খাইরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হলিধানী ইউনিয়নের উপসহকারী মফিজ উদ্দিন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ-নবী বলেন, সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় গাগান্না ও রাজনগর গ্রামের কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে বীজতলা ও ধানের চারা রোপণে ব্যবহার করা হয়েছিল আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষিতে নতুন দুয়ার খুলেছে।

তিনি বলেন, জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়’ চাষ। এ পদ্ধতিতে জমিতে সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করা হয় একই মাত্রা ও একই সময়ে। ফলে ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়। এখানে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করা হচ্ছে। আর এই কাটা পর্যন্ত সম্পূর্ণ খরচ কৃষি অফিস বহন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা সব জমিতে একই সময়ে ধান বপন করা হয়েছে এবং একই সময় কাটা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে বিরি ধান ৯২ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছিল। এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আট টন ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কর্তনের পর ক্রপ কাটিং করে দেখা হয়েছে। সেখানে আট টনের মতো ফলন পেয়েছি। কৃষি যান্ত্রিকরণের যে সুফল, ইতোমধ্যেই কৃষকরা সেটি বুঝতে শিখেছেন। আমরা আশাবাদী, আগামীতে কৃষি যান্ত্রিকরণ হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কৃষকের ভোগান্তি ও খরচ কমেছে। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]