ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বাঁধন বিশ্বাস নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব বিশ্বাস নয়নের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে ফোনে এবং হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা। তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমি ছোটভাইকে শাসনের জন্য, তাকে অনুশোচনার জন্য চড় মেরেছি।’
ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত দুজনই ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বাঁধন বিশ্বাস লিখেছেন, রাজীব বিশ্বাস তার বান্ধবীকে অনলাইনে যৌন হয়রানি করে। এ বিষয়ে তিনি রাজিব বিশ্বাসের বান্ধবীকে জানান। তারই জের ধরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হলের ৩০১৪ নাম্বার রুমে গিয়ে তাকে চড়, ঘুষি মারেন রাজীব। এরপর তিনি চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে অভিযোগ দেওয়ায় তাকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজীব বিশ্বাস সমকালকে বলেন, তিনি যৌন হয়রানিজাতীয় কিছু করেননি। উল্টো তার বান্ধবীকে বাঁধন বিশ্বাস হয়রানি করেছে। সেজনই তাকে ছোট ভাই হিসেবে শাসনের জন্য মেরেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি হল ছাত্রলীগের কমিটির পদপ্রত্যাশী। আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য অন্য কয়েকজন পদপ্রত্যাশী বাঁধনকে উস্কানি দিয়ে ছোট ঘটনাকে বড় করেছে। যদি বলেন আমি কেন চড় মেরেছি। প্রথমত ছোট ভাইকে শাসন করার জন্য, দ্বিতীয়ত নারী উত্যক্তকারীকে মেরেছি।’
এ বিষয়ে প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘দুজনই আমার কাছে ফোনে অভিযোগ দিয়েছে। আমি ঢাকার বাইরে থাকায় প্রাধ্যক্ষকে ঘটনাটি জানিয়েছি। বিষয়টি তারা দেখবেন।’
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, ‘বাঁধন বিশ্বাসের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘দোষী সাব্যস্ত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’