বলিউডের ‘ব্যাচেলর’ তকমাটা আজও তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। তিন দশকের ক্যারিয়ারে তিনি কখনও ‘প্রেম’, কখনও ‘রাধে’, আবার কখনও ‘টাইগার’ হয়ে বক্স অফিস শাসন করেছেন। আজ ২৭ ডিসেম্বর ভাইজান সালমান খানের ৬০তম জন্মদিন। পর্দায় উন্মুক্ত পেশিবহুল শরীর দেখিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে ঝড় তোলা এই অভিনেতা আজ কেবল জনপ্রিয়তায় নয়, সম্পদের নিরিখেও আকাশচুম্বী উচ্চতায়।
বর্তমানে প্রায় ২৯০০ কোটি টাকার বিশাল সম্পত্তির মালিক তিনি। ষাট বছর বয়সে দাঁড়িয়ে সালমানের এই সাম্রাজ্যে কী কী রয়েছে, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই অনুরাগীদের। সালমান খানের সম্পদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বিখ্যাত ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট’। দীর্ঘ বছর ধরে এই বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে থাকছেন তিনি।
দোতলা এই ভবনের নিচতলায় সালমান এবং ওপরের তলায় তার বাবা-মা থাকেন। বর্তমানে এই বাড়ির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির মুখে নিরাপত্তার খাতিরে সালমানের এই বাসভবনে বসানো হয়েছে বিশেষ বুলেটপ্রুফ কাঁচ।
অর্পিতা ফার্মস ও অন্যান্য আবাসন মুম্বাইয়ের কোলাহল ছেড়ে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে সালমান ছুটে যান পানভেলের খামারবাড়িতে। বোন অর্পিতার নামে যার নাম রেখেছেন ‘অর্পিতা ফার্মস’। ১৫০ একর জমির ওপর নির্মিত এই ফার্মহাউসে রয়েছে সুইমিং পুল, পশুখামার ও বিস্তীর্ণ চাষের জমি। অবসরে এখানে নিজেই কৃষিকাজ করেন ভাইজান। এই খামারবাড়ির মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া কার্টার রোড, ওরলি এবং সুদূর দুবাইতেও রয়েছে তার বিলাসবহুল আবাসন।
সাগরের বুকে নিজস্ব ইয়ট ও শৌখিন গাড়ি সালমান খান কেবল রাজকীয় বাড়িতেই থাকেন না, চলেনও রাজকীয়ভাবে। নিজের ৫০তম জন্মদিনে তিনি ৩ কোটি টাকা দিয়ে একটি ব্যক্তিগত ইয়ট কিনেছিলেন, যেখানে প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করতে দেখা যায় তাকে। তার গ্যারেজে শোভা পায় অডি, বিএমডব্লিউ এবং মার্সিডিজ বেঞ্জ-এর মতো নামী ব্র্যান্ডের সব দামি গাড়ি।
আয়ের উৎস ও মানবসেবা সিনেমাপ্রতি সালমান খান এখন ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। এর বাইরে টেলিভিশন রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’ সঞ্চালনা করে প্রতি বছর আয় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। নামী সব ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন থেকেও আসে বড় অংকের সম্মানী। তবে কেবল নিজের বিলাসিতাতেই মগ্ন নন তিনি। আয়ের একটি বিশাল অংশ ব্যয় করেন নিজের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বিয়িং হিউম্যান’-এর মাধ্যমে। দুস্থ মানুষের চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য কাজ করে এই সংস্থাটি