গেল মৌসুমেই ছিলেন লিভারপুলের প্রাণভোমরা। একের পর এক গোল করে দলকে বেশ কিছু ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এবারও নিজের ফর্ম ধরে রেখে দলকে লিগ শিরোপার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পুনরুদ্ধারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ।
কিন্তু চলতি মৌসুমে যেন শুরুর একাদশেই সুযোগ পাচ্ছেন না সালাহ। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে তো দলেই ডাক পাননি তিনি। তখন থেকেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। গুঞ্জন উঠে লিভারপুল বস আর্নে স্লটের সঙ্গে সালাহর সম্পর্কের ভাঙনের। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কড়া কথাও বলেছিলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।
স্লটের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ভাঙনের কথা জানিয়ে মোহাম্মদ সালাহ বলেছিলেন, ‘এর আগে আমি অনেকবার বলেছি যে, তার (আর্নে স্লট) সঙ্গে সবসময় আমার ভালো সর্ম্পক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের অবসান ঘটেছে। সবকিছুই বদলে গেছে।’ মিসরে এই তারকা ফুটবলার আরও বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না যে, ৯০ মিনিট ধরে আমাকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আবার দল জিততে না পারলেও কেউ একজন আমার ওপর দিচ্ছে। আমাকে আসলে আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে।
বিতর্কের মাঝেই সালাহর ফুরিয়ে যাওয়ার খবর নিয়ে আলোচনা চলে বিশ্ব ফুটবল-পাড়ায়। কিন্তু আসলেই কি ফুরিয়ে গেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার? এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সালাহ নিজেই। ফুটবল মাঠে বিশ্বকে নতুন করে দেখিয়ে দিচ্ছেন নিজের সামর্থ্য। জাতীয় দলের জার্সিতে করেই চলেছেন একের পর এক গোল। তাতেই আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে মিসর।
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছেন সালাহরা। এই দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে মিসর। তাতেই নিশ্চিত হয়েছে পরবর্তী রাউন্ড। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নামে মিসর। রোডেশীয়দের কাছে কখনও না হারা মিসর প্রথমার্ধেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। বিরতির আগ পর্যন্ত লিড ধরে রাখে জিম্বাবুয়ে। একের পর এক আক্রমণ চালালেও সমতায় ফেরা হচ্ছিল না মিসরের। অবশেষে ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে ওমর মারমাউসের গোলে সমতায় ফিরলেও জয়সূচক গোলের আর দেখা মিলছিল না। এভাবেই গড়িয়ে যায় নির্ধারিত ৯০ মিনিট।
ড্রয়ের মাধ্যমে শেষ হওয়ার পথেই ছিল ম্যাচটি। এমতাবস্থায় যোগ করা সময়ে গোল করে দলের নায়ক বনে যান সালাহ। ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় মিসর। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার রাতে মিসরের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে লাল কার্ড খেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান মিসরের মোহাম্মদ হানি। এই ১০ জনের দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মিসরের ফুটবল রাজা।