নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
 প্রকাশিত: 
 ১৩ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১৮
 আপডেট:
 ১৪ অক্টোবর ২০২২ ০০:৪৬
                                গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তে জনগণ হতবাক হয়েছে। তবে তিনি এও মনে করেন, এই ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আর ভোট করতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গাইবান্ধায় ভোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরদিন সচিবালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি, ইসির (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্তে এটা প্রমাণ হয়েছে। এতে সরকারের ভূমিকা নেই। তাদের সিদ্ধান্তই সবার উপরে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়কের কথা বলে সেটার প্রয়োজন নেই।
উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার প্রায় এক যুগ পরও এই ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধের অবসান হয়নি। যদিও এক দশক আগেই জাতীয় সংসদ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় অভিযোগ তুলে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি এটি প্রতিহত করতে সহিংস আন্দোলনে যায় বিএনপি তার জোট। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া এই জোট পরে ভোটে আসে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতেই আওয়ামী লীগের নৌকার পক্ষে সিল মারার অভিযোগ এনে বিএনপি আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে। এই দাবিতে কয়েকটি দলকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণাও এসেছে। সেই ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগের বক্তব্যে ফিরে গিয়ে তারা বলছে, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার ভোটার হতবাক হয়েছে। কোথাও কোনো গণ্ডগোল হয়নি। কোনো অভিযোগ ছিল না, সহিংসতার কোনো ঘটনা হয়নি। ইসি ৫০০ কিলোমিটার দুরে বসে সিসি ফুটেজ দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওটা আসলে কতটা কারেক্ট ফুটেজ ছিল, সেটা বড় প্রশ্ন।
তিনি বলেন, ৯৮টি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের রিপোর্ট আছে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। ইসির সিদ্ধান্ত প্রচণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ বলে জনগণ বলছেন।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: