সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ
 প্রকাশিত: 
 ১৬ জুলাই ২০২৫ ১০:৪৪
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৩৭
 
                                আদালতের নির্দেশে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রায় ৫ হাজার শতাংশ জমি, গাজী টায়ারের কারখানা ও আরও বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা।
সিআইডির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গোলাম দস্তগীর গাজী জোরপূর্বক জমি দখল, কমিশন গ্রহণ, জাল-জালিয়াতী, প্রতারণা, হুন্ডি এবং আন্ডার ইনভয়েসও ওভার ইনভয়েসের এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাজার মূল্যের সম্পত্তি ক্রোক করেছে সিআইডি।
গোলাম দস্তগীর গাজী (সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), (সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ)-১, পিতা-গোলাম কবির গাজী, মাতা- সামসুন নেছা, সাং-ভূঁইয়া বাড়ি, উত্তর রূপসী, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ নামীয় নারায়রগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার খাদুন এলাকার ৬৯টি দটিলির সর্বমোট জমির পরিমাণ- ৪৮৭৯.৯২।
শতাংশ যার দলিল মূল্য- ১৬,৫২,৮৪,০০০/- (ষোল কোটি বায়ান্ন লক্ষ চুরাশি হাজার) টাকা এবং যাহার ওপর গাজী টায়ার প্রতিষ্ঠানসহ স্থাবর সম্পত্তি ও তদস্থিত বিভিন্ন অবকাঠামোসহ সর্বমোট প্রায় ৪০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, ক্রোককৃত সম্পত্তি তিনি ২০১৫ সালে থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্জন করেছেন। ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, সিআইডির, ঢাকার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা উক্ত সম্পত্তির ওপর গত ৮ জুলাই ক্রোকাদেশ দেন।
এতে আরও বলা হয়, গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ তার সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিআইডি, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। গাজী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্তেও একই শাখায় অনুসন্ধান চলমান রয়েছে এবং এই সংক্রান্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন সংস্থায় এ বিষয়ে রেকর্ডপত্র ভিত্তিক পর্যান্ত তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থায় পত্র দেওয়া হয়েছে।
ডিএম /সীমা

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: