যুক্তরাষ্ট্রে বার্ড ফ্লুতে প্রায় ৫ কোটি পাখির মৃত্যু
 প্রকাশিত: 
 ২০ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১৪
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৪৮
 
                                পরিচিত অতি-সংক্রামক এভিয়ান বার্ড ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জার দ্রুত বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরে রেকর্ড সংখ্যক মুরগী ও টার্কির মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, কৃষকরা আগে এই ভাইরাসটির যে ধরন বা রূপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, এবারে তার চেয়ে ভিন্ন এবং জটিল একটি ধরন বন্য পশুপাখিকে বেশি সংক্রমিত করছে। পরবর্তীতে এই ভাইরাসের বিস্তার আরো দ্রুত ঘটছে।
চলতি বছর বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চার কোটি ৭০ লাখের বেশি পাখি মারা গেছে। ফলে রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে হয়েছে, ডিম ও টার্কির উৎপাদন কমে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির মৌসুম শুরুর আগে এসবের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গেছে।
পণ্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা ক্রেতাদের উপর এর প্রভাব আরো দুর্ভোগ বয়ে এনেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ পাখির মৃত্যু হয়। যা দেশটিতে পশু-স্বাস্থ্য খাতে সবথেকে খারাপ আঘাত ছিল।
এবার খামারিদের ভাইরাসের এইচ৫এন১ ধরণের যে উপধরণের মোকাবেলা করতে হচ্ছে সেটি গরমের মৌসুমেও টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পশু বিষয়ক কর্মকর্তা রোজমেরি সিফোর্ড। যেখানে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণের ধার কমে যায়।
এক সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, “ভাইরাসের ওই উপধরণটি ইউরোপেও ছড়িয়েছে। সেখানে এবার এভিয়ান ফ্লুর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করছে। এরই মধ্যে সেখানে প্রায় পাঁচ কোটি পোলট্রি মারা গেছে।”
কর্মকর্তারা অতীতের তুলনায় এবার বুনো হাঁসের মত বন্য পাখিদের মধ্যে ভাইরাসের ওই উপধরণটি বেশি পেয়েছেন এবং পাখির দেহে এটি ধারণার চেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকছে।
যা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং খুব সম্ভবত ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত এটি স্থায়ী হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পশু কর্মকর্তা সিফোর্ড।
এভিয়ান ফ্লু সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ‘ফ্লাইওয়ে’ নামে পরিচিত চারটি অভিবাসন পথে বন্য পাখিদের চলাচল পর্যবেক্ষণ করছে। আগের দুটি পথ পর্যবেক্ষণে রাখা হত। আগামী বছরও দেশটি একই কাজ করার পরিকল্পনা করেছে।
সিফোর্ড বলেন, ‘‘অদূর ভবিষ্যতেও এ ভাইরাস বন্য পাখিদের মধ্যে উপস্থিত হতে পারে। এটি নিশ্চিতভাবেই ভিন্ন হবে।”
গত ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২টি রাজ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যা ২০১৫ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। এছাড়া, সেবার গ্রীষ্মকালে ভাইরাস সংক্রমণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার গরমে সংক্রমণ খানিকটা ধীরগতি পেলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: