নিরাপত্তার জন্য ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারে না
 প্রকাশিত: 
 ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩৯
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪৬
                                নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে ফ্রান্স। ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে ক্রমবর্ধমান টানাপোড়েন ও সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই এই মন্তব্য করল ইউরোপীয় পরাশক্তি এই দেশটি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইউরোপ তার নিরাপত্তার জন্য আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারে না বলে ফ্রান্সের সরকারের মুখপাত্র সোফি প্রাইমাস বলেছেন। বুধবার তিনি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেন, “যদিও আমেরিকানরা স্পষ্টতই আমাদের মিত্র রয়ে গেছে, তবে আমাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের ওপর আর নির্ভর করতে পারি না।”
সোফি প্রাইমাস বলেন, “নিজের সুরক্ষার জন্য অন্য শক্তির কাছে তার নিরাপত্তা অর্পণ করতে পারে না বলে ইউরোপ উপলব্ধি করছে”। এছাড়া ইউরোপের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতা “ঝুঁকিতে রয়েছে” বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এছাড়া গত সোমবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে প্রাইমাস ইউক্রেনের সাথে সংহতি এবং একটি শক্তিশালী ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এমনকি আলোচনায় ইউরোপ এবং ইউক্রেনের উপস্থিতি ছাড়া কোনও স্থায়ী শান্তি অর্জিত হবে না বলেও জোর দিয়ে জানান তিনি।
মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয়দের অংশগ্রহণ ছাড়াই ইউক্রেন শান্তি আলোচনার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সরাসরি আলোচনা শুরু করার পর এই মাসে মার্কিন-ইউরোপীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
এই সপ্তাহান্তে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলোগ নিশ্চিত করেন, ইউক্রেনে শান্তির বিষয়ে পরিকল্পিত মার্কিন-রাশিয়া আলোচনায় ইউরোপীয়দের আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ পরামর্শ দিয়েছেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোর সৈন্য সরবরাহ করা উচিত, যুক্তরাষ্ট্রের নয়।
প্রসঙ্গত, ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক, ইউক্রেনের পরিস্থিতি, সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা এবং ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধান বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের নেতারা সোমবার প্যারিসে জড়ো হয়েছিলেন।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: