ইউক্রেনকে আরও ১২০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
 প্রকাশিত: 
 ৯ মে ২০২৩ ১২:১৪
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৯
                                ইউক্রেন জুড়ে রুশ হামলা বাড়ছে। ইউক্রেনের অবকাঠামোর ক্ষতি বাড়ছে। এছাড়াও, ইউক্রেনের পরিকল্পিত পাল্টা আক্রমণ আগামী সপ্তাহগুলিতে লড়াইয়ের তীব্রতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই নতুন সাহায্য প্যাকেজের আকার হতে পারে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার। মঙ্গলবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য ১.২ বিলিয়ন বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবারই এই সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে।
রয়টার্স বলছে, নতুন এই সহায়তা প্যাকেজে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, গোলাবারুদ এবং প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, নতুন এই সহায়তায় ১৫৫-মিমি হাউইৎজার গোলাবারুদ, কাউন্টার-ড্রোন গোলাবারুদ এবং উপগ্রহ চিত্রের জন্য অর্থায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল পাবে ইউক্রেন।
এদিকে সহায়তা প্যাকেজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিসট্যান্স ইনিশিয়েটিভ (ইউএসএআই) তহবিল থেকে পরিশোধ করা হবে। মূলত এই তহবিলই মার্কিন অস্ত্রের মজুদ থেকে সমরাস্ত্র নেওয়ার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে শিল্প থেকে অস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়ে থাকে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। আর আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া যুদ্ধ শুরুর বছরখানেকের মাথায় এসে ইউক্রেনকে ট্যাংক দিয়ে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য।
অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামরিক জোট ন্যাটোর কাছে শুধু ট্যাংক নয়, যুদ্ধবিমানও চাইছেন। তবে এখনও কোনও দেশই তা দেওয়ার স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি। আব্রামস বা লিওপার্ডের মতো ট্যাংক এবং এফ-১৬ এর মতো যুদ্ধবিমান দেওয়া হলে তা ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে।
তবে অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, এসব সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন রাশিয়ার বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে তাই নয়, তেমন কিছু হলে পশ্চিমা বিশ্ব বা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকেও এ যুদ্ধে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে ফেলবে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: