ভয়াবহ মাদকের মাধ্যমে মাইন্ড কন্ট্রোল করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র
 প্রকাশিত: 
 ২২ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৪৬
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০২
                                স্কোপোলামিন বা ডেভিলস ব্রেথ (শয়তানের শ্বাস) একটি ভয়াবহ মাদক । সেই মাদক টার্গেট করা নারী বা পুরুষের শ্বাসে প্রয়োগের মাধ্যমে ‘মাইন্ড কন্ট্রোল’ করে তাদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে যশোরের অভয়নগরে এমনই একটি চক্রের খপ্পরে পড়ে আনুমানিক দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার খুইয়েছেন দুই নারী। এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকালে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী দুই নারী হলেন- উপজেলার সরখোলা গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী রুকাইয়া রিশা ও খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের আব্দুল মান্নান মোড়লের স্ত্রী কাকলী খাতুন। সম্পর্কে রুকাইয়া রিশা কাকলী খাতুনের ননদ।
কাকলী খাতুন জানান, ‘বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ফুলতলা শ্বশুরবাড়ি থেকে অভয়নগরে বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ও তার ননদ ফুলতলা বাজারে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে পৌঁছান। সেখান থেকে অভয়নগরের নওয়াপাড়াগামী একটি অটোরিকশায় উঠেন। এ সময় বোরকা পরা এক নারীও তাদের পাশে বসেন। এরপর ওই নারী তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের কথা বলতে শুরু করেন। নওয়াপাড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে তিনি তাদের মুখের সামনে একটি কাপড় নাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করেন। এরপর থেকে তারা ওই নারীর কথায় চলতে শুরু করেন।’
তিনি আরও জানান, ‘দুপুর ১২টার দিকে নওয়াপাড়া নূরবাগে পৌঁছালে ওই নারী তাদের একটি ভ্যানে উঠতে বলেন। তিনি মনে করী জানান, ওই সময় ভ্যানচালককে সরখোলা গ্রামে তার বাবার বাড়ির ঠিকানা বলেছিলেন। পরে নওয়াপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন রেলগেট থেকে ওই নারীর এক সহযোগী ভ্যানে ওঠেন। বুইকারা স্কুলের কাছে ফাঁকা স্থানে পৌঁছালে তারা তাদের গলায়, কানের ও হাতে থাকা স্বর্ণগুলো খুলে দিতে বলেন। তখন তারা দুজন স্বর্ণালঙ্কারগুলো খুলে ওই নারীর হাতে দিয়ে দেন। এরপর তারা সরখোলার একটি রাস্তায় তাদের নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। খুলে দেওয়া স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা।’
রুকাইয়া রিশার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘দুপুর ২টার দিকে খবর পেয়ে তাদের বাড়ি নিয়ে এলে ঘুমিয়ে পড়েন। ওইদিন রাতে তাদের ঘুম ভাঙলে সবকিছু জানতে পারেন। এ নিয়ে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকালে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।’
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, ‘এ ধরনের মাদক সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: