নাটোরে দুপক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্য নিহত
 প্রকাশিত: 
 ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৪
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৩২
                                সিংড়ার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল বাজারে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আত্তাব হোসেন (৫০) ও স্থানীয় রুটি দোকানি রুহুল আমিন (৪৫) নিহত হয়েছেন।
নিহত আত্তাব হোসেন সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বামিহাল গ্রামের গাজীউর রহমানের ছেলে। অপরজন নিহত রুহুল আমিন বামিহাল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
রোববার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় বামিহাল বাজারে পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুকাশ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ দুপক্ষের আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ (৪০) ও প্রতিপক্ষের মাসুদ (৩৮) -কে গুরুতর আহতাবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত আফসার আলীকে (৫৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বামিহাল বাজারে দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত দুপক্ষের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বামিহাল গ্রামের আ.লীগ নেতা আত্তাব হোসেনের সঙ্গে সুকাশ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দস ও তার বড় ভাই সুকাশ ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
রোববার (৯ অক্টোবর) বিকেল থেকে দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাতে বামিহাল বাজারে নিহত আ’লীগ নেতা আত্তাব হোসেনের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস ও তার বাহিনী। পরে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে আত্তাব হোসেনসহ তার পক্ষের তিনজন ও আব্দুল কুদ্দসের পক্ষের দুজন গুরুতর জখম হয়। পরে ঘটনাস্থলেই আ’লীগ নেতা আত্তাব হোসেনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে প্রতিপক্ষ গ্রুপের রুহুল আমিন সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে ওই এলাকায় উভয় গ্রুপের দ্বন্দ্বে বেশ কয়েকটি হত্যাসহ ১২ থেকে ১৪ জন পঙ্গু ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: