মহেশপুরে বিজিবির জব্দ করা ১১৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
 প্রকাশিত: 
 ২২ মে ২০২৫ ০৯:৫৭
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:১৯
 
                                ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন সময় উদ্ধারকৃত ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর রিজিয়নের বিজিবি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার আহসান হাবিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবির দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ফেনসিডিল ২৫ হাজার ৮১৩ বোতল, বিদেশি মদ ৩৮ হাজার ৯৮০ বোতল, গাঁজা ১৩০ কেজি, ইয়াবা ৬৫ হাজার ১৭৪ পিস, হেরোইন ৩৭ কেজি, কোকেন ৭৯ কেজি, ক্রিস্টাল ম্যাথ (আইস) ৭ কেজি, এলএসডি ২৯ বোতল, ভায়াগ্রা ট্যাবলেট ২১ হাজার ৩১৬ পিস, ট্যাপেন্টাল ট্যাবলেট ৩০ হাজার ৭০ পিস, ভারতীয় নিষিদ্ধ ঔষুধ ওষুধ ৯ হাজার ৮৪৫ পিস, বাংলাদেশি ওষুধ ৯ হাজার ৯৬০ পিস।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১৫ মাসে মহেশপুর ও জীবননগর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। এই মাদকদ্রব্য ধ্বংসের মাধ্যমে সমাজে মাদকবিরোধী বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে সচেতন করা বিজিবির অন্যতম উদ্দেশ্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবীর বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ রোধে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়, সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে বিজিবির মাদক নির্মুল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের জন্য এটি একটি সর্তকবার্তা।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: