পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
 প্রকাশিত: 
 ১২ মে ২০২৫ ০৮:৩০
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:১৯
 
                                বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জওয়ান মো. রেজাউল করিমকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১১ মে) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টিম।
গ্রেপ্তার রেজাউল করিম পটিয়া উপজেলার ডেংগা পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আবুল বাসার। রেজাউল বিডিআরের সিপাহি ছিলেন।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফফর হোসেন বলেন, পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রেজাউল করিমকে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।
অন্যদিকে, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: